রাশিয়ার কাজের ভিসা পেতে কত দিন লাগে ২০২৫
রাশিয়ার কাজের ভিসা পেতে কত দিন লাগে সম্পর্কে জানতে চান,তাহলে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে সে দেশের ভিসা প্রসেসিং থেকে শুরু করে কাগজপত্র এবং খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য সমূহ। কারণ রাশিয়ায় চালু রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিসা। আর এজন্য অনেক সময় কম বা বেশি সময় লাগে।
পোস্ট সূচিপত্র:রাশিয়ার কাজের ভিসা পেতে কত দিন লাগে ২০২৫
- রাশিয়ার কাজের ভিসা পেতে কত দিন লাগে ২০২৫
- রাশিয়া কাজের ভিসা
- রাশিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খরচ
- রাশিয়া কাজের ভিসায় যেতে খরচ
- সরকারি ভাবে রাশিয়া যাওয়ার নিয়ম
- বেসরকারিভাবে রাশিয়া যাওয়ার নিয়ম
- রাশিয়ার ভিসার জন্য কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন
- রাশিয়ার বিভিন্ন ভিসার খরচ ২০২৫
- রাশিয়ার কোন কাজের চাহিদা বেশি
- রাশিয়া ভিসা পাওয়ার জন্য কত দিন সময় লাগে
- রাশিয়াতে কাজের ভিসা পেতে কি কি কাগজপত্র লাগে
- রাশিয়া যাওয়ার জন্য কত বছর বয়স সময় লাগে
- রাশিয়াতে কাজের বেতন কত টাকা
- লেখকের মন্তব্য
রাশিয়ার কাজের ভিসা পেতে কত দিন লাগে ২০২৫
রাশিয়ার কাজের ভিসা পেতে কত দিন লাগে সম্পর্কে জেনে নিন। রাশিয়া বা যে কোন দেশে ভিসা পাওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি ধাপ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ভিসার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। আর এজন্য অনেক সময় কম বা বেশি সময় লাগে। তবে সাধারণত রাশিয়ার ভিসা পেতে আবেদনের পর থেকে ১০ দিন থেকে ২৫ দিন সময় লাগে।
তাছাড়া আপনার কাজের ক্যাটাগরি বা আপনার পেশার উপর ভিসা পাওয়ার সময় অনেকটা নির্ভর করে থাকে। এছাড়া অনেক সময় সে দেশের দ্রুতবাসের উপর অনেকটা নির্ভর করবে। এক্ষেত্রে সময় লাগে প্রায় ৩০ দিন বা এক মাস। অনেকে রাশিয়া ভিসা আবেদন করার পরে কবে বেশি হাতে পাবে সে বিষয়ে জানার জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে থাকে।
তা আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে ভিসা পাওয়ার সঠিক সময়টা উল্লেখ্য করেছি। অর্থাৎ বর্তমানে রাশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার পরে ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে পাওয়া যায় তবে কোন সমস্যা হলে ১৫ থেকে ২০ দিনের বেশি সময় লাগতে পারে।
ভিসা পাওয়ার জন্য কিছু ধাপ প্রক্রিয়া রয়েছে যেগুলো সম্পন্ন করতে বেশ কিছু সময় লেগে যায়। তবে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে সেটা হচ্ছে ভিসা পেতে কতদিন লাগবে সেটা কাজে ধরানোর উপর নির্ভর করবে সে ক্ষেত্রে আপনি বিশ্বস্ত কোন এজেন্সির মাধ্যমে রাশিয়া ভিসা তৈরি করতে পারেন।
রাশিয়া কাজের ভিসা ২০২৫
রাশিয়া কাজের ভিসা সম্পর্কে জেনে নিন। রাশিয়া বাংলাদেশীদের ভিসা পাওয়া অনেকটাই কঠিন হয়ে দাঁড়ায় তবে অনেকটা ধৈর্য এবং বিভিন্ন নীতিমালা ও পরীক্ষার মধ্য দিয়ে রাশিয়ার ভিসা আপনি সহজে সংগ্রহ করতে পারবেন। রাশিয়ার জব পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে অনুসন্ধান করতে হবে রাশিয়ার জব সাইট কিংবা আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম LinkedIn এ।
এছাড়াও বাংলাদেশের অনেক দালাল ও এজেন্সি রয়েছে তাদের সাহায্য নিতে পারেন। আপনি রাশিয়া ওয়ার্ক নিয়ে যেতে চাচ্ছেন এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। অর্থাৎ আপনি যে কাজের উপর যেতে চাচ্ছেন ওই সেই কাজের উপরে দক্ষতা অভিজ্ঞতা অর্জন করে যাওয়া উচিত।
আরো পড়ুন: রোমানিয়া ভিসার দাম কত ২০২৪
আবেদনের জন্য নিজে নিজে কিংবা আপনার বিশ্বস্ত কোন এজেন্সি সহযোগিতা নিয়ে আবেদন করতে পারেন। কাজের ভিসা পাওয়ার রাশিয়ায় অনেক কঠিন। এজন্য আপনাকে অনেক ধৈর্য পরীক্ষা নীতিমালার মাধ্যমে সেগুলো সংগ্রহ করতে হয়। আবার আপনি চাইলে সে কাজের ভিসা জন্য নিজে থেকে ভালো এবং পরিচিত এজেন্সির মাধ্যমে বিশ্বের আবেদন করতে পারেন।
রাশিয়ার কাজের ভিসা যাওয়ার জন্য আপনার অনেক ডকুমেন্ট এর প্রয়োজন হবে। আর এ সকল ডকুমেন্ট শুধু রাশিয়ার নয় প্রায় সকল দেশে যাওয়ার জন্য দরকার হয়। আপনার সকল ডকুমেন্ট সঠিক থাকলে আপনি পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারবেন।
রাশিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খরচ ২০২৫
রাশিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খরচ সম্পর্কে জেনে নিন। রাশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে জানার জন্য প্রায়শ অধিকাংশ মানুষ গুগলে সার্চ করে থাকেন। রাশিয়া উত্তর এশিয়া এবং পর্ব ইউরোপীয় অস্তিত্ব বিশ্বের সবচেয়ে বড় একটি দেশের এসে প্রচুর পরিমাণে কাজের সুযোগ রয়েছে বিশেষ করে বাংলাদেশীদের জন্য কৃষি নির্মাণ বা গৃহ পরিচর্যার মত কাজের চাহিদা রাশিয়া রয়েছে।
সে কারণে প্রতিবছর রাশিয়া বাংলাদেশীদের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রদান করে থাকে। রাশিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা অন্যান্য বিষয়ের তুলনায় কিছুটা বেশি। তবে সরকারিভাবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা রাশিয়া যেতে প্রায় ৫ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বেসরকারি এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে খরচ পড়ে যায় ৯ লক্ষ টাকা থেকে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
রাশিয়া কাজের ভিসায় যেতে খরচ ২০২৫
রাশিয়া কাজের ভিসায় যেতে খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। রাশিয়া কাদের ভিসা যেতে কত খরচ হয় তার সঠিকভাবে বলা মুশকিল কারণ যেখানে কাজের ভিসার কয়েকটি ধরন রয়েছে। আর ভিসা ধরনের যে ভিসার খরচ নির্ধারণ হয়ে থাকে। সেখানে কাজের বিষের মধ্যে রয়েছে কনস্ট্রাকশন কার্পেন্টার ফুড প্যাকেজিং ড্রাইভিং ক্লিনার ইত্যাদি।
আর এই সকল ভিসা পাওয়ার জন্য খরচ হবে কমপক্ষে ৯ লক্ষ টাকা থেকে প্রায় ১২ লক্ষ টাকার মত। তবে সরকারিভাবে যেতে খরচ হবে 5 লক্ষ টাকা থেকে প্রায় ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত। আসল কথা হলো যদিও রাশিয়া যেতে খরচ বেশি লাগে কিন্তু সেখানে বেশি টাকা বেতনের জন্য সেটি কোন সমস্যা হয় না।
রাশিয়া যাওয়ার খরচ পুরোটাই নির্ভর করে আপনার যাওয়ার মাধ্যম বিশেষ করে এজেন্সি বা দালালের উপর নির্ভর করে থাকে। কেননা অনেক সময় দালালদের মাধ্যমিক প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। রাশিয়া কাজের ভিসার আপনার খরচ হতে পারে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা।
তবে রাশিয়াতে বিভিন্ন ধরনের কাজের বেতনের পরিমাণ অনেক বেশি হয়ে থাকে রাশিয়া ওয়ার্ড পারমিট ভিসা নিয়ে চলে গেলে আপনি কি নতুন অবস্থায় ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকা বেতন পেতে পারেন এবং সর্বোচ্চ ১ লক্ষ টাকা বেতন পেতে পারেন ।
আরো পড়ুন: কোন দেশগুলোর জন্য ইভিসা প্রযোজ্য জানুন কত ২০২৪
তাহলে রাশিয়া কাদের ভিসা তৈরি করতে আপনার সব মিলে খরচ হতে পারে প্রায় ৮ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকা তবে খরচের পরিমাণটা নির্ভর করে আপনার এজেন্সির ওপর তবে দালাল ভাই এজেন্সি প্রতারক হলে আপনার সর্বোচ্চ ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
সরকারি উপায়ে রাশিয়া যাওয়ার নিয়ম
সরকারি ভাবে রাশিয়া যাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন। বাংলাদেশে থেকে সরকারিভাবে রাশিয়া যাওয়ার জন্য আপনাকে আবেদন করতে হবে। রাশিয়ার ভিসা সাধারণত কয়েকটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত থাকে কাজের বিষয় স্টুডেন্ট ভিসা এবং টুরিস্ট ভিসা।
আর প্রতিটি ভিসার ক্যাটাগরির জন্য আলাদা প্রসেসিং এবং খরচ আলাদা আলাদা রয়েছে। সরকারি এবং বেসরকারি উভয় বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া যাওয়া যায় এমনি ভিসা প্রসেসিং এর নিয়ম দেখা যাক-সরকারের উপরে রাশিয়া যাওয়ার জন্য আপনাকে আবেদন করতে হবে বোয়েসেল (BOESL)এর মাধ্যমে।
বাংলাদেশী কর্মীরা এ সরকারি সংস্থার মাধ্যমে বিদেশে চাকরির সুযোগ পাবে। আরে এই ওয়েবসাইটে নিয়মিতভাবে বিদেশি চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সরকারের উপর রাশিয়া দিতে খরচ অনেক কম হয় বেসরকারি উপায়ে তুলনায় আর আপনি যদি সরকারি উপায়ে রাশিয়া যেতে চান তাহলে নিম্নের প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে আপনাকে চলুন তাহলে সম্পর্কে বিস্তারিত জানি।
- আপনাকে আবেদন করতে হবে (BOESL) এর বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করে।
- আবেদন ফরম সঠিকভাবে করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে।
- আবেদন ফরম জমা দেওয়ার পর ইন্টারভিউয়ের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করুন।
- নির্বাচিত হওয়ার পর ভিসা প্রসেসিং এর জন্য প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করুন।
বেসরকারি উপায়ে রাশিয়া যাওয়ার উপায়
- চোখ কান খোলা রেখে বিশ্বস্ত এবং পরিচিতি ভেসে এজেন্সি নির্বাচন করুন।
- আগে থেকে এজেন্সির সঙ্গে খরচ সহ সকল শর্ত ভালোভাবে নিশ্চিত করুন।
- যুক্তির সময় ভিসা ওয়ার্ক পারমিট এবং বিমান ভাড়া সহ সবকিছু সম্পন্ন করুন।
রাশিয়ার ভিসার জন্য কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন
- সঠিক উপায়ে ফরম পূরণ করে আবেদন পত্র।
- রাশিয়ার কাজ পেয়েছেন তার প্রমাণ পত্র।
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি এনআইডি।
- অপরাধ মুক্ত থাকার পুলিশের ক্লিয়ারনে সার্টিফিকেট।
- পূর্বের কাজের অভিজ্ঞতা সনদপত্র।
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র।
- নির্ধারিত মানদণ্ডের ছবি।
- কমপক্ষে ছয় মাস মেয়াদ আছে এমন পাসপোর্ট লাগবে।
- শারীরিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা সুস্থতা সনদপত্র।
- রাশিয়ার কোন কোম্পানির কাজের অফার পত্র।
- সর্বশেষে, রাশিয়ার সকল কাগজপত্র সঠিক এবং নির্ভুলভাবে সকল ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে।
রাশিয়ার বিভিন্ন ভিসার খরচ ২০২৫
- কাজের ভিসা -সরকারি উপায়ে ৫ থেকে ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং বেসরকারি মাধ্যমে নয় থেকে ১২ লক্ষ টাকা লাগে।
- টুরিস্ট ভিসা-টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ কম এবং এ ভিসার খরচ তুলনামূলক অনেক কম তবে সাধারণত খরচ ১ থেকে ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা লাগবে।
- স্টুডেন্ট ভিসা-স্টুডেন্ট ভিসা পশ্চিমা অন্যান্য দেশে তুলনায় রাশিয়া স্টুডেন্ট ভিসার খরচ রাশিয়ায় অনেকটা কম। তবে সাধারণত খরচ দুই থেকে চার লক্ষ টাকা লাগে।
রাশিয়ার কোন কাজের চাহিদা বেশি
- ফ্যাক্টরির কাজ।
- ডেলিভারি ম্যান এর কাজ।
- ফার্মের কাজ।
- ড্রাইভিং কাজ।
- প্লাম্বিং কাজ ।
- কৃষি কাজ।
- ইলেকট্রিশিয়ান কাজ।
- নির্মাণ শ্রমিক এর কাজ।
- কনস্ট্রাকশন এর কাজ ।
- হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এর কাজ ইত্যাদি।
রাশিয়া ভিসা পাওয়ার জন্য কত দিন সময় লাগে
রাশিয়াতে কাজের ভিসা তে কি কি কাগজপত্র লাগে
- আপনার বৈধ পাসপোর্ট।
- সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
- চাকরির অফার লেটার।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা সার্টিফিকেট।
- কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট।
- ভিসা আবেদন ফরম।
- এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্র গুলো।
রাশিয়া যাওয়ার জন্য কত বছর বয়স সময় লাগে
- কাজের ভিসা-19 বছর থেকে ৩৫ বছর যদিও এই বয়সসীমা বাধ্যতামূলক নয় কিন্তু এ বয়সে প্রার্থীর ভিসা পাওয়া অনেক সহজ হয়।
- স্টুডেন্ট ভিসা-সর্বনিম্ন ১৬ বছর তবে অনেক ক্ষেত্রে স্কুল বা কলেজে পড়াশোনার জন্য বয়স আরো কম হতে পারে।
- টুরিস্ট ভিসা-টুরিস্ট ভিসা যেত এর বয়স সীমার কোন বাধ্য বাধ্যকতা নেই তবে প্রাপ্তবয়স্ক বা ১৮ বছর বেশি হলে ভিসা পাওয়া অনেক সহজ হয়।
পার্মানেন্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url