সরিষার তেল মালিশের, চুলের ও ত্বকের বিশেষ উপকারিতা জানুন
Suraiya
১০ জুন, ২০২৪
সরিষার তেল মালিশের, চুলের ও ত্বকের বিশেষ উপকারিতা জানুন। সরিষা তেল খাওয়ার
মাধ্যমে আমরা অনেক উপকারিতা পেতে পারি। বিশেষজ্ঞরা সরিষার তেল খাওয়ার জন্য
পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এছাড়াও ত্বকের চুল সহ নানা প্রকারের উপকারিতা পাওয়া যায়।
হার্ট ভালো রাখার জন্য সরিষার তেলের মধ্যে অনেক উপকারিতা রয়েছে। ক্যান্সারের
ঝুঁকি কমাতে সরিষার তেল রান্না করে খেতে পারেন। ভালো কোলেস্টরল বৃদ্ধি করার জন্য
নিয়মিত সরিষার তেল খেতে পারেন। তাহলে চলুন দেরি না করে সরিষার তেলের খাওয়ার
উপকারিতা গুলো সম্পর্কে জানতে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্র: সরিষার তেল মালিশের, চুলের ও ত্বকের বিশেষ উপকারিতা
সরিষার তেল খেলে কি হয় জেনে নিন। আপনার শীতল খাওয়ার মত আমরা অনেক প্রকারের
উপকারিতা পেয়ে থাকি। কারণ সরিষার তেলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ ভিটামিন বিটামিন
সি ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ভিটামিন ছাড়া আরো অনেক উপাদানের উপস্থিতি পাওয়া যায়।
যেগুলা ত্বক ও চুলে আরো নানা প্রকারের উপকারিতা লুকিয়ে থাকে।
বিশেষজ্ঞরা সরিষার তেল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাহলে সরিষার তেলের মালিশের
উপকারিতা পাশাপাশি চুল ও ত্বকের উপকারিতা জেনে নিন।একটা সময় গ্রাম বাংলার
মানুষেরা শরীরের সাথে তেল ছাড়া অন্য কোন তেল ব্যবহার করত না। তখন রান্না করে
খাওয়া থেকে শুরু করে রূপচর্চা ও চুলের ব্যবহারের জন্য সরিষার তেল ব্যবহার
করতো।
আমাদের দেশে সরিষার তেলের ইতিহাস প্রায় শত বছরের। তখন বাচ্চা থেকে শুরু করে
প্রাপ্তবয়স্ক সকলের সরিষার তেল ব্যবহার করতো। কারণ সরিষার তেলের গন্ধ তাদেরকে
মুক্ত করতে পাশাপাশি তারা সরিষার তেল ব্যবহারের মাধ্যমে অনেক উপকার পেতো। কিন্তু
বর্তমানে অনেকেই বলে সরিষার তেলের মধ্যে কোন উপকারিতা নাই যেটি একদম ভুল
কথা।
সরিষার তেল ত্বক বা মুখে ব্যবহার করলে মুখ কালো হয়ে যায় এটিও ধারণা করে। কিন্তু
সরিষার তেল রান্না করে খাওয়া মালিশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজে ব্যবহারের
মাধ্যমে উপকারিতা পাবেন। তাই সরিষার তেল ব্যবহারে যে উপকারিতা গুলো পাবেন তা জেনে
নিতে হবে। সরিষার তেল মালিশের, চুলের ও ত্বকের বিশেষ উপকারিতা।
সরিষার তেল মালিশের উপকারিতা
সরিষার তেল মালিশের, চুলের ও ত্বকের বিশেষ উপকারিতা জেনে নিন। আমরা যারা সরিষার
তেল নিয়মিত ব্যবহার করি। বিশেষভাবে যার সরিষার তেল শরীরে বিভিন্ন অংশে মালিশের
ক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকেন। তাদের জন্য শরীরে যত স্থান গুলোর উপকারিতা রয়েছে।
কারো সরিষার তেল মালিশের আরাম পাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন রোগের সমাধান পাওয়া
যায়।
শুধুমাত্র এর ব্যবহার সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকতে হবে তাহলে সরিষার তেলের যে
উপযুক্ত মানুষের উপকারিতা রয়েছে। তার যথাযথভাবে আপনার কাছে এসে ধরা দিতে বাধ্য
হবে তাই সরিষার তেল মানুষের উপকারিতা গুলো নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলো:
হাটু ও মাজা শরীরের বিভিন্ন যন্ত্রের ব্যথায় আমরা কাতর হয়ে যায়। এ ব্যথা
থেকে আরাম পেতে সরিষার তেল মালিশ করতে পারেন এতে ব্যথা কমে যাবে। এতে আপনাকে
তৎক্ষণাৎ আরম দিতে পারে।
সরিষার তেল গরম করে শরীর মালিশ করার মাধ্যমে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে পারেন।
এর জন্য সরিষার তেলটি গরম করুন তারপরে যে স্থানগুলোতে ব্যথা রয়েছে সেসব
স্থানগুলোতে গরম কৃত তেল দিয়ে মালিশ করতে থাকুন। এর ফলে ব্যাথা আপনার কাছ থেকে
দূরে পালিয়ে যাবে এবং আরাম দেবে। এরপর আপনার আগে তুলনায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি
পাবে।
সর্দি-কাশি জ্বরের ক্ষেত্রে সরিষার তেলের মালিশের মধ্যে উপকারিতা লুকিয়ে
রয়েছে অনেক। আপনি জেনে খুশি হবেন যে সরিষার তেল গরম করার পর তার মধ্যে আধা
চামচ কালোজিরা দিয়ে শরীরের এপাশ ওপাশে মালিশ করার মাধ্যমে আরোগ্য গুলো থেকে
মুক্তি পাওয়া যায়।
শীতের সময় সরিষার তেলে কার্যকারিতার কোন বিকল্প নেই। কেননা শীতে সরষে তেল
দিয়ে মালিশ করলে শরীরকে গরম রক্ত সহায়তা করে এরপরে ঠান্ডা কম লাগা সম্ভবনা
রয়েছে। শুধু তাই না নিয়মিত সরিষার তেলের মালিশ নিলে শীতের সময় হওয়া অনেক
রোগের থেকে দূরে থাকা যায়।
ত্বকে সরিষার তেলের উপকারিতা
সরিষার তেল মালিশের, চুলের ও ত্বকের বিশেষ উপকারিতা জেনে নিন। যেকোনো ত্বকের জন্য
সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন। এর কার্যকারিতা এতটা বেশি যে ত্বকে থাকা বিভিন্ন
ধরনের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে থাকে। কারণ সরিষার তেলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন
এ ভিটামিন এ ম্যাগনেসিয়ামের মত কার্যকরী অনেক উপাদান।
যার ফলে এই উপাদান গুলো আপনার তোকে প্রটেক্ট করতে ভূমিকা পালন করে থাকে। তাইতো
গ্রামের মানুষেরা ত্বকের যত্ন সরিষার তেল কে বেছে নিত। কেননা কারণ তারাই যুগ যুগ
ধরে জেনে আসছে ত্বক ভালো রাখার জন্য সরিষার তেল ব্যবহার করতে হবে। আসুন জেনে নিই
ত্বকের সরিষার তেলে ব্যবহার ফলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যেতে পারে। যে উপকারিতা
গুলোর মাধ্যমে আপনি প্রকৃত হতে পারবেন সেগুলো নিচে বিস্তারিত দেয়া হলো:
ত্বকে দাগ সার্কেল থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন।
তাইতো সরিষার তেলের সাথে লেবুর রস বেসন ও দই মিশিয়ে তারপরে আপনার পুরো ত্বকে
মালিশ করুন। অতঃপর ৮ থেকে ১২ মিনিট রেখে দিন। তারপরে পরিষ্কার ঠান্ডা পানি
দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এভাবে একদিন পর পর ব্যবহার করুন।
রোদের মধ্যে থাকা ক্ষতিকারক রশিগুলো থেকে বেঁচে থাকার জন্য সরিষার তেল
ব্যবহার করতে পারেন। শুধু তাই নয় সূর্যের আলো তো তার থেকে রক্ষা
পাবেন।
আপনি কি জানেন ত্বকের শুষ্কতার হাত থেকে রক্ষার জন্য যুগ যুগ ধরে ব্যবহার
হয়ে আসছে সরিষার। আধা চামচ সরিষার তেল হাতে নিয়ে মুখে মালিশ করুন আর
কিছুক্ষণ পর পরিস্কার পানি দ্বারা মুখ ধুয়ে ফেলুন।
যাদের শীতের সময় ঠোট ফাটা সমস্যা রয়েছে তারা ঠোঁট ফাটার হাতে রক্ষা পাওয়ার
জন্য দুই এক ফোঁটা সরিষার তেল ঠোঁটের ব্যবহার করতে পারেন এতে করে ঠোঁট ফাটার
সম্ভাবনা নেই।
আপনি যদি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে চান। তাহলে নারকেলের সরিষার তেলে
একসাথে ব্যবহার করতে পারেন। এ দুটো তেল একসাথে মিশে তোকে মালিশ করতে পারেন
সাত থেকে আট মিনিট মালিশ করার পর ত্বক পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
আপনার মত অনেক আছেন যাদের ত্বকে এলার্জি চুলকানোর জন্য তো সমস্যা রয়েছে।
তারা সরিষার তেল ব্যবহার করে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে
পারেন।
ত্বকের বয়সের ছাপ ফুসকুড়ি করে ব্রণের দাগ ও ব্রণ দূর করার ক্ষেত্রে সরিষার
তেল সহায়তা করে। হাতে আধা চামচ সরিষার তেল মাখিয়ে নিন তারপর ওই হাত ত্বকের
মালিশ করুন। দেখুন কিছুক্ষণ পরে ফলাফল কতটা উপকারী হয়।
বাচ্চাকে সরিষার তেল দিলে কি হয়
বাচ্চাদের সরিষার তেল দিলে কি হয় জেনে নিন। গ্রাম বাংলা শত বছরের ইতিহাস হচ্ছে
সরিষার তেল। শত শত বছর ধরে শিশুদের শরীরের শেয়ার তেল শরীরে ব্যবহার করে আসছে।
শিশুদের জন্য সরিষার তেলের মধ্যে যে উপকারিতা রয়েছে তা অন্যান্য তেলের মধ্যে
নেই। এমন কেউ অনেক প্রকারের লোশন রয়েছে যেগুলো শিশুদের শরীরে ত্বকের জন্য উপযোগী
নয়।
আসতে কিছু বছর আগে শীতের সময় বাচ্চা ও শিশুদেরকে গোসল করানোর পর সরিষার তেল
দিয়ে রোদে বসিয়ে রাখত। আমাদের দেশের শিশুদের শরীরে সরিষার তেলের ব্যবহার অনেক
আগে থেকে হয়ে আসছে। কারণ শিশুদের জন্য সরিষার তেলের মধ্যে অনেক উপকারিতা রয়েছে।
শীতের সময় শিশুকে সরিষার তেল দিয়ে শুদ্ধ কাশি থেকে রক্ষা করতে সহায়তা
করে।
এমন কি শীতের সময় বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই হয় যা থেকে শিশুকে রক্ষা করে। এর
জন্য রচনা সরিষার একসাথে মিশিয়ে গরম করে নিতে হবে গরম হয়ে যাওয়ার পর থেকে
ঠান্ডা হওয়ার জন্য সময় দিতে হবে। তারপর যখন তেলটি ঠান্ডা হয়ে যাবে তখন শিশুর
শরীর আস্তে আস্তে মালিশ করে দিন। গরম করার কারণ হচ্ছে তেলের ঘনত্বটা কমে
যায়।
তাই আপনার শিশু বা বাচ্চা শরীরে সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন। তাই আপনার শিশু
বা বাচ্চার সুস্থ সবার রাখতে সাহায্য করে। অনেকে মনে করে শিশুকে সরিষার তেল দিলে
চামড়া কালো হয়ে যাবে তবে এটি একদম ভুল ধারণা। এটি একমাত্র নিছক ধারণায় বলা
যায়। এ ধারণা কোন ভিত্তি নেই বরং আপনার শিশুর ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল থাকবে।
চুলে সরিষার তেলের উপকারিতা
চুলে সরিষার তেলের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। আমরা চুলের উপকারিতায় বিভিন্ন ধরনের
হেয়ার অয়েল ব্যবহার করে থাকি। অনেকে চলে যত্ন নারকেল তেল ব্যবহার করেন। কিন্তু
আপনি কি জানেন চুলের যত্ন সরিষার তেল ব্যবহার করা হয় আসলে সরিষার তেলের মধ্যে
রয়েছে চুলের জন্য অনেক উপকারী উপাদান।
কারণ সরিষার তেলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ভিটামিন সি ভিটামিন ভিটামিন ই ওমেগা থ্রি
ফ্যাটি এসিড সকল উপকারী উপাদান। যা চুলের যত্নে যে সকল উপাদানের প্রয়োজন তার
প্রায় সকল কিছুই সরিষার তেলের মধ্যে পাওয়া যায়।
তাইতো নারকেল তেলের পাশাপাশি মাঝেমধ্যে সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে আর
দেরি না করে চলুন জেনে যায় চুলের যত্নে সরিষার তেল ব্যবহারের ফলে কি কি উপকারিতা
পাওয়া যেতে পারে তবে বিস্তারিত নিচে দেওয়া হলো:
চুল দ্রুত বৃদ্ধি করার জন্য সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন। কারো সাথে
তোমাদের রয়েছে আলফা ফ্যাটি এসিড যা চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি
চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে। যদি চুল পড়া সমস্যা রয়েছে তারা সরিষার
তেল ব্যবহার করতে পারেন।
মেয়েদের চুল পড়া সমস্যা আছে তাই সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন।
যাদের চুল পড়া সমস্যা রয়েছে তার সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন। কারণ
শরীরের চুল পড়া বন্ধ করে চুলের গোড়াকে শক্তিশালী করে তুলতে পারে। সাধারণত
চুল পড়ার কারণ হচ্ছে ফলি কল দুর্বল হয়ে যাওয়া রোধ করতে সরিষার তেল সহায়তা
করে।
আমরা সকলেই চাই চুলকে আগের তুলনায় একটু বেশি বড় করতে। সত্যি যদি চুলকে আগে
তোল না বেশি বড় করতে চান তাহলে সরিষার তেলের সমাধান খুঁজে পাবেন। কারণ
সরিষার তেলে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড জিংক ও সিলেনিয়াম যা চুলের
উজ্জ্বলতা ও গ্রোথ ধরে রাখতে পারে এবং চুল বাড়তে সাহায্য করে।
চুলের তালুতে সঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালন না হওয়ার কারণে চুলে বিভিন্ন ধরনের
সমস্যা দেখা দেয়। কারণ এ সমস্যাটি শুধু আপনার এক আর নয় অনেকেরই রয়েছে।
তাইতো রক্ত সঞ্চালের স্বাভাবিক রাতে সরিষার তেল ব্যবহার করুন।
অনেকের চুল পেকে যাওয়া রোধ করার জন্য সরিষার তেলের মধ্যে উপকার পাবেন।
চুলের গোড়া পাতলা চুলকানি খুশকি রোধ করতে সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন।
কারো সরিষার তেলের মধ্যে এন্ট্রি ফাংগাল নামে উপাদান থাকে যা এর সমাধানে
ভূমিকা পালন করে।
চুলে উকুনের হাতে বাঁচানোর জন্য সরিষার তেল ব্যবহার করুন এবং নিয়মিত চিরুনি
দিয়ে মাথার চুল হাছড়াবেন। তাহলে উপন্য নামক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি
পাবেন।
সরিষার তেলে অ্যালোভেরা ভালো করে মিশিয়ে প্রায় ৪০ মিনিট রেখে দেন তারপর
শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপরে সরিষার তেলের সাথে ধনে গুঁড়া মিশে মাথায়
ব্যবহার করুন। এ সময়ের পর শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন তারপর সরিষার
তেলের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। মাথায় দেওয়ার প্রায় ৪০
মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
চুলে সরিষার তেলের অপকারিতা
সরিষার তেল মালিশের, চুলের ও ত্বকের বিশেষ উপকারিতা চুলে সরিষার তেলের উপকারিতা
জেনে নিন। অনেক সময় এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা উপকারিতার লক্ষণ দেখা যায় সরষে
তেল ব্যবহারে শুধু উপকারিতা পাওয়া যায় না অপকারিতা ও রয়েছে। এটি দেখা যায় মূল
কারণ হচ্ছে খাটি সরিষার তেল ব্যবহার না করা।
অবশ্যই খাঁটি সরিষার তেল ব্যবহার করলে সকল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অপকারিতা থেকে
বেঁচে থাকা যায়। আবার আপনি যদি সরিষার তেল ব্যবহার করে মাথায় বেশিদিন রেখে দেন
এটা ঝাজালো প্রতিক্রিয়া ক্ষতিকর হতে পারে। তাই বেশিক্ষণ না রেখে ১ থেকে ২ ঘন্টা
সরিষার তেল মাথায় দিয়ে রাখার পর মাথা ধুয়ে ফেলুন। আর সবসময় চেষ্টা করবেন খাটি
সরিষার তেল ব্যবহার করার।
খুঁজে বের করুন যে সকল জায়গায় খাঁটি সরিষার তেল পাওয়া যায়। সূর্য তেল চুলে
ব্যবহারে ফলের চোখ হালকা ঝাঁঝালো অনুভব করবে। যদি এরকম অনুভূত হয়ে থাকে তাহলে
সরিষার তেল চুলে ব্যবহার করার আগে তুলনায় কমিয়ে দিতে হবে। আর অল্প অল্প করে
সরিষার তেল ব্যবহার করবেন বেশি না ব্যবহার করাই ভালো।
রান্নায় সরিষার তেলের উপকারিতা
রান্নায় সরিষার তেলের উপকারিতা জেনে নিন। রান্নায় সরিষা তেলের ব্যবহার ইতিহাস
হল শত বছরে। একটা সময় গ্রাম বাংলার মানুষ খাঁটি সরিষার তেল দিয়ে রান্না করতো।
কি রান্না করে তো খাবার গুলো খেতে কত না সুস্বাদু ছিল। সরিষা তেলের মাছ ভাজা খেতে
কে না পছন্দ করত। তাইতো আমাদের দেশের একটা সময় রান্নাবান্নার কাজে শুধুমাত্র
ব্যবহার করা হতো সরিষার তেল।
কিন্তু সময় পরিবর্তন মানুষের সাথে থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তারা হয়তো মনে করে
সরিষার তেল দিয়ে রান্নার মধ্যে কোন উপকারই তাই নেই আসলে কি তাই কথাটা একটু কি
সত্যি! কথাটি সম্পূর্ণ ভুল কারণ সরিষার তেলে বহু গুণে বহুরূপী। তাহলে রান্না
সরিষার তেল উপকারিতা গুলো কি কি রয়েছে তা বিস্তারিত নিচে দেওয়া হলো:
হার্ট ভালো রাখে: হার্ট ভালো রাখার জন্য সরষে তেলের মধ্যে উপকারিতা
রয়েছে অনেক। কারণ সরিষার তেলের মধ্যে মনোসেচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড ও
পোলিওনসেচুরেটেড হার্টকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি রক্তে কোলারেস্টোরলের মাত্রা
স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: ক্যান্সার ঝুঁকি কমাতে সরিষার তেল রান্না
করে খেতে পারেন। যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে থাকে। তাইতো সরিষার তেল
নিয়মিত খাওয়ায় রয়েছে অনেক উপকারিতা।
মাথার জন্য কার্যকরী ভূমিকা: আমরা অনেকে কখনো না কখনো মাথা ব্যথার মতো
সমস্যা প্রায় সকলের রয়েছে। যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা হওয়ার কারণে মাথাব্যথা
হয়ে থাকে তারা সরিষার তেল খাওয়ার মত মাথাব্যথা কমানো সহজ স্মৃতি শক্তি
বৃদ্ধিতে দারুন ভূমিকা পালন করে।
হজম শক্তি বৃদ্ধি: বর্তমান সময়ে হজম শক্তি সমস্যা অনেকেরই রয়েছে।
যদি এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে ঘরোয়া হিসেবে সরিষার তেল খেতে
পারেন। কেননা সরিষার তেল হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে দারুন কাজ করে থাকে। পাশাপাশি
আপনি আর একটি উপকার পাবেন সেটা হচ্ছে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে মুক্তি। কারণ
কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার কারণে হজমে গোলমাল পেট ব্যথার মত সমস্যা হয়ে থাকে।
ব্যথার উপশম: নিয়মিত সরিষার তেল রান্না করে খাওয়ার মাধ্যমে শারীরিক
দিয়ে সকল ব্যথা রয়েছে তা থেকে উপশম পাবেন। তাই নিয়মিত রান্না করে শেষে তেল
খাও না তুমি শরীরের ব্যথাগুলো থেকে উপশম পাবেন। শুধু কি তাই দাঁতের
ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্তি দিতে পারে সরিষার তেল।
কোলেস্টেরল বৃদ্ধি: শরীর খারাপ কোলেস্টোরল এ মাত্রা কমিয়ে ভালো করে
কোলেস্টেরল মাত্রা বৃদ্ধিতে সরিষার তেল দারুন কাজ করে থাকে। তাইতো ভালো
কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করার জন্য নিয়মিত সরিষার তেল খেতে থাকুন। সরিষার তেল
কোলেস্টেরল দারুন এক উৎস।
সরিষার তেলের ক্ষতিকর দিক
সরিষার তেল মালিশের, চুলের ও ত্বকের বিশেষ উপকারিতা সরিষার তেলের ক্ষতিকর দিক
জেনে নিন। আপনারা হয়তো মনে করেছেন এত গুণ এবং সম্পূর্ণ তেলে আবার ক্ষতির দিক
রয়েছে। হ্যাঁ সরিষার তেলের মধ্যে কিছু ক্ষতিকর গুনাগুনের উপস্থিতি রয়েছে এই
তিনটি অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে ক্ষতিকর দিক গুলো দেখা যায়। আপনি যদি অতিরিক্ত
সরিষার তেল খেতে থাকেন।
তার বিভিন্ন ক্ষতিকারক দিক ঘিরে ধরবে। আসুন জেনে নিয়ে সরিষার তেলের ক্ষতিকারক
দিকগুলো কি কি রয়েছে। সরিষার তেল খাওয়ার ফলে হার্টের সমস্যা হতে পারে। এ জন্য
অতিরিক্ত সরিষার তেল না খেয়ে পরিমাণ মতো সরিষার তেল খাবেন তাহলে আশা করা যায়
সরিষার তেল হার্টের পক্ষে উপকার হবে।
অতিরিক্ত সরিষার তেল খাওয়ার ফলে পেটে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা
রয়েছে। পেট ব্যথা ডায়রিয়া সহ আরো অনেক কিছু সমস্যা। সরিষার তেল খাবারের
প্রতিফলন হিসেবে ফুসফুসে ক্যান্সার হতে পারে।
এর জন্য বেশি পরিমাণে সরিষার তেল না খেয়ে পরিমাণ মতো খেতে হবে চাইলে তুলনা বেশি
খেলে ফুসফুস ড্যামেজ হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। যার ফলে ক্যান্সারের সৃষ্টি
হতে পারে। তখন চলে সরিষার তেল ব্যবহারের চোখ জ্বলনে সৃষ্টি হতে পারে।
সরিষার তেল খেলে কি ওজন বাড়ে
সরিষার তেল খেলে কি ওজন বাড়ে জেনে নিন। সরিষার তেল আসলে কি ওজন কমাতে সাহায্য
করে নাকি শুধুমাত্র নিছক কথা। আপনি যেখানে শুয়ে থাকেন না কেন সরিষার তেল ওজন
কমাতে সাহায্য করে তাহলে আপনি সঠিক শুনেছেন। সরিষার তেল ভিটামিন বি কমপ্লেক্স
হয়েছে যা শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে থাকে।
তবে শুনে অবাক হবেন যে সরষের তেল খাওয়ার মাধ্যমে কখন ওজন বৃদ্ধি পায় না। কারণ
সরিষা তেলের মধ্যে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ওমেগা সিক্স ফ্যাটি এসিড যা
শরীরের স্বাস্থ্যকর চর্বির পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে থাকে। তাই সরিষার তেল
খেলে ওজন বৃদ্ধি পায় না।
সরিষার তেলে কি এলার্জি আছে
সরিষার তেলে কি এলার্জি আছে জেনে নিন। সরিষা তেলের মধ্যে রয়েছে অনেক উপকারিতা যা
আমরা শুনে ফেলেছি। কিন্তু সরিষার তেলের মধ্যে এলার্জি রয়েছে কিনা এটা আমরা জানতে
পারিনি। হ্যাঁ সরিষার তেলের মধ্যে এলাচের উপস্থিতি পাওয়া যায় যা আপনার শরীরে
অ্যালার্জি সংক্রমণের সৃষ্টি হতে পারে। যদি সরিষার তেল ব্যবহারে ফলে আপনার শরীরে
এলার্জি সংক্রমণ ঘটে থাকে।
তাহলে আপনি চাইলে সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারবেন না। আর যদি সরিষার তেল ব্যবহার
করলে এলার্জি কোনরকম প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। তার নির্দেশ সরিষার তেল ব্যবহার
করতে পারেন। এই এলার্জির কারণে শরীরে চুলকানি ও বমি বমি ভাবের সৃষ্টি হতে
পারে।
লেখকের মন্তব্য
সরিষার তেল মালিশের, চুলের ও ত্বকের বিশেষ উপকারিতা এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে
পেরেছেন। সবশেষে বলা যায় যে বাংলার ইতিহাসের সাথে সরিষার তেলের একটি সম্পর্ক
রয়েছে। যে সম্পর্কে একটু বয়স প্রায়শত বছরের বেশি হয়ে গেছে।
চুল থেকে শুরু করে শরীরের অনেক স্থান সরিষার তেল মালিশের জন্য ব্যবহার করতো সেই
সময়ে। তাই আমরা সরিষার তেল মানুষের জন্য ব্যবহার করতে পারে সরিষা তেলের মাধ্যমে
বিভিন্ন ধরনের রান্না করে খেতে পারি। আমরা আমাদের ইতিহাস কে ধরে রাখার পাশাপাশি
উপকারিতা গুলো পেতে পারি।
আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করছি। এই পোস্টটি সম্পর্কে যদি আপনার কোন কিছু জানতে ইচ্ছে হয় তাহলে কমেন্টে জানাতে
পারেন এবং এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করে
দিবেন বিভিন্ন রকম তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের permanentitওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন।
পার্মানেন্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url